গ্রহরূপে পৃথিবী প্রশ্ন উত্তর, Class 10 Geography : নবম শ্রেণির ভূগোল প্রথম অধ্যায় গ্রহরূপে পৃথিবী।
গ্রহরূপে পৃথিবী থেকে প্রশ্ন উত্তর, রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর, ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, MCQ SAQ আলোচিত হয়েছে।
গ্রহরূপে পৃথিবী প্রশ্ন উত্তর, Class 10 Geography
প্রথম পর্ব
- পৃথিবী আকার
- বিভিন্ন ধারণাসমূহ
- প্রাচীন ধারণা (ক. সমতল বা চ্যাপ্টা / খ. গোলাকার ধারণা)
- সাম্প্রতিক ধারণা (অভিগত গোলক)
- সর্বশেষ ধারণা (জিয়ড আকৃতি)
- পৃথিবীর আকৃতির প্রমাণ (গোলাকার প্রমাণ)
- প্রত্যক্ষ প্রমাণ (মহাকাশচারী ও উপগ্রহ চিত্র)
- পরোক্ষ প্রমাণ (অনেকগুলি)
- পৃথিবীর আকৃতির প্রমাণ (অভিগত)
- পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীর মতো বা Geoid
দ্বিতীয় পর্ব
- পৃথিবীর আয়তন
- কুলীন ও বামন গ্রহের ধারণা
- পৃথিবীর আয়তন
- পৃথিবীর স্বকীয় অবস্থান
- মানুষের আবাসস্থল এই পৃথিবী
- পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বের কারণ
- পৃথিবী সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য (পরিধি, ব্যাস, ব্যাসার্ধ)
তৃতীয় পর্ব
- GPS
- কীভাবে এল?
- কার্যপদ্ধতি
- মহাকাশীয় বিভাগ
- ভূমিনিয়ন্ত্রণকারী বিভাগ
- ব্যবহারকারী বিভাগ
- ব্যবহার
- নাগরিক কাজে
- সামরিক কাজে
আলোচিত টপিক
এম.সি.কিউ. সিরিজ
[1] অভিগত গোলকের – উত্তর-দক্ষিণ চাপা, পূর্ব-পশ্চিম স্ফীত / পূর্ব-পশ্চিম চাপা, উত্তর-দক্ষিণ স্ফীত/ উত্তর-পশ্চিম চাপা, দক্ষিণ-পূর্ব স্ফীত/ উত্তর-পূর্ব চাপা, দক্ষিণ-পশ্চিম স্ফীত।
[2] পৃথিবীর আকৃতি – গোলাকার / সমতল / অভিগত গোলকাকার / আয়তাকার।
[3] “পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে” প্রথম বলেন – গ্যালিলিয়ো/ কোপারনিকাস / আর্যভট্ট / বরাহমিহির।
[4] গণিতের যে শাখায় পৃথিবীর আকার, আকৃতি সংক্রান্ত আলোচনা করা হয় তাকে – জিয়োডেসি / জিয়োলজি/ জিয়োমরফোলজি/ জিয়োগ্রাফি বলে।
[5] ভারতীয় বিজ্ঞানী – কোপারনিকাস / আর্যভট্ট / অ্যারিস্টট্ল / এরাটোস্থেনিস, বলেন যে, পৃথিবী গোলাকার।
[6] পৃথিবীর গোলকাকার আকৃতির সাম্প্রতিক প্রমাণ হল – নাবিকদের পৃথিবী পরিক্রমণ/কৃত্রিম উপগ্রহ চিত্র/ সমুদ্রে জাহাজ অদৃশ্য হয়ে যাওয়া/ চাঁদের ওপর পৃথিবীর গোল ছায়া।
[7] পিথাগোরাস ছিলেন – গ্রিক / রোমান / ব্রিটিশ/ পোর্তুগিজ দার্শনিক।
[8] যে অভিযাত্রী সমুদ্রপথে সমগ্র পৃথিবী ঘুরে পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির প্রমাণ দেন তিনি হলেন – ক্রিস্টোফার কলম্বাস / ফার্দিনান্দ ম্যাগেলান/ ভাস্কো-দা-গামা / আমেরিগো ভেসপুচি।
[9] গ্রিক পন্ডিত এরাটোস্থেনিস নির্ণীত পৃথিবীর পরিধি – 40000 কিমি / 40320 কিমি / 45000 কিমি / 46250 কিমি।
[10] পৃথিবীকে গোলাকার ধরেই জ্যামিতিক পদ্ধতিতে পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন – বরাহমিহির / অ্যারিস্টট্ল / এরাটোস্থেনিস/ কোপারনিকাস।
[11] বেডফোর্ড লেভেল পরীক্ষা করা হয় – 1980/1870/1875/1970 খ্রিস্টাব্দে।
[12] এরাটোস্থেনিসের মতে পৃথিবীর গড় পরিধি – 60000 কিমি/ 30000 কিমি / 40000 কিমি / 50000 কিমি।
[13] এরাটোস্থেনিসের মতে পৃথিবীর পরিধি – 18000 স্টেডিয়া / 200000 স্টেডিয়া/ 210000 স্টেডিয়া / 250000 স্টেডিয়া।
[14] 540 খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথম ঘোষিত হয় যে পৃথিবী গোল, সমতল বা চ্যাপটা নয়”, ঘোষণা করেন এরাটোস্থেনিস / পিথাগোরাস / অ্যারিস্টটল / আর্যভট্ট।
[15] পৃথিবীর পরিধি প্রথম নির্ণয় করেন – অ্যারিস্টট্ল / কোপারনিকাস / ম্যাগেলান / এরাটোস্থেনিস।
[16] পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলক হওয়ার কারণ- মহাজাগতিক বল/ অভিকর্ষ বল/ অভিকেন্দ্র বল ও অপকেন্দ্র বল/ কোনোটিই নয়।
[17] পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস মেরুব্যাসের তুলনায় – 24 কিমি / 32 কিমি/ 52 কিমি/ 43 কিমি বেশি।
[18] বৃহস্পতি উপগ্রহের সংখ্যা – 13/27/62/67।
[19] পৃথিবীর গড় ব্যাস – 6400 কিমি / 12800 কিমি / 40000 কিমি / 12000 কিমি।
[20] সৌরজগতের সবচেয়ে বড়ো গ্রহ হল – বৃহস্পতি / শনি / ইউরেনাস / পৃথিবী।
[21] পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ – 6371/6400/1200/5871 কিমি।
[22] পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস – 12757 কিমি / 12714 কিমি/ 12417 কিমি / 12147 কিমি।
[23] সৌরজগতের নিকটতম ও ক্ষুদ্রতম গ্রহ হল – পৃথিবী/বুধ/শুক্র/ শনি।
[24] মিথেন/ ক্লোরিন/ নাইট্রোজেন/ সোডিয়াম গ্যাস বেশি থাকায় ইউরেনাস গ্রহটির রং সবুজ।
[25] পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব – 15 কোটি কিমি / 15 কোটি 20 লক্ষ কিমি / 14 কোটি 95 লক্ষ কিমি / 14 কোটি 70 লক্ষ কিমি।
সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহটির নাম – পৃথিবী/শুক্র / শনি / মঙ্গল।
কুলীন গ্রহদের মধ্যে আবর্তনের সময় সর্বাধিক – বুধ/ পৃথিবী / মঙ্গল / শুক্রের।
পৃথিবীর ক্ষেত্রমান – 51 কোটি 9 লক্ষ বর্গকিমি / 50 কোটি বর্গকিমি / 60 কোটি 40 লক্ষ বর্গকিমি/ 41 কোটি 66 হাজার বর্গকিমি।
বহিঃস্থ গ্রহের উদাহরণ হল – মঙ্গল/ বুধ/ বৃহস্পতি/ শুক্র।
ইউরেনাস গ্রহের যমজ গ্রহ হল – পৃথিবী / বৃহস্পতি / নেপচুন / শনি।
সর্বাধিক উপগ্রহের সংখ্যা – পৃথিবী/ শনি/ ইউরেনাসে/ বৃহস্পতি গ্রহের।
সৌরজগতের সবচেয়ে সুন্দর গ্রহ (Elegant Planet) হল – পৃথিবী / বৃহস্পতি / মঙ্গল / শনি।
ইউরেনাস আবর্তন করে – পূর্ব থেকে পশ্চিমে / পশ্চিম থেকে পূর্বে/ দক্ষিণ থেকে উত্তরে / উত্তর থেকে দক্ষিণে।
প্লুটোকে বলা হয় – বামন গ্রহ / কুলীন গ্রহ/ উপগ্রহ / কোনোটিই নয়।
পৃথিবীর গোলত্ব প্রমাণে ইংল্যান্ডের বেডফোর্ড খালে পরীক্ষা করেন – কোপারনিকাস / গ্যালিলিয়ো/ এ.আর. ওয়ালেস / আর্যভট্ট।
প্রথম পৃথিবীর ওজন পরিমাপ করেন – ক্যাভেনডিশ / এরাটোস্থেনিস / ফেরল / অ্যারিস্টটল।
পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ – 6371 কিমি / 5871 কিমি / 6300 কিমি / 1200 কিমি।
পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ও পৃথিবীর মেরুব্যাসের মধ্যে পার্থক্য হল – 80 কিমি / 34 কিমি/ 43 কিমি/ 75 কিমি।
কুলীন গ্রহের সংখ্যা – 9/8/11/ কোনোটিই নয়।
গ্রহদের মধ্যে আয়তনে পৃথিবীর স্থান – দ্বিতীয়/ তৃতীয়/চতুর্থ / পঞ্চম।
সৌরজগতের একটি অন্তর্ভাগের গ্রহের উদাহরণ হল – বৃহস্পতি / শুক্র / শনি / ইউরেনাস।
কোন গ্রহটির আবর্তনের সময় পরিক্রমণের সময় অপেক্ষা বেশি? – বুধ/ শুক্র / মঙ্গল/ বৃহস্পতি।
ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দিগন্তরেখার পরিধি – বাড়ে/ কমে/ কোনো পরিবর্তন হয় না/ দিগন্তরেখা মিলিয়ে যায়।
কোনটি বামন গ্রহ নয়? – প্লুটো/ সেরেস / হাউমিয়া/ বুধ।
USA GPS পরিষেবার জন্য মহাকাশে – 23/24/25/21টি উপগ্রহ স্থাপন করেছে।
সম্প্রতি মহাকাশে প্রেরিত ভারতের GPS পদ্ধতির নাম হল – INSAT/IRSS/IRNSS/IRNSI।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক সংস্থা – NASA / IAU/ISRO/INSATI।
শূন্যস্থান পূরণ
প্রাচীনকালে মানুষ ————————————— দেখে উত্তর দিক নির্ণয় করত।
মারিয়ানা খাত ————————————— মহাসাগরে অবস্থিত।
আকাশ যেখানে ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে মেশে, তাকে বলে—————————————।
পৃথিবীর ————————————— শক্তির জন্য আমরা পৃথিবী থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাই না।
দিক নির্ণয়কারী যন্ত্রের নাম—————————————।
চন্দ্রগ্রহণে গোলাকার পৃথিবীর ছায়া দেখে ————————————— বলেন পৃথিবী গোল।
আর্যভট্ট মনে করতেন পৃথিবীর আকৃতি —————————————।
মেরু অঞ্চলের তুলনায় নিরক্ষীয় অঞ্চলে বস্তুর ওজন —————————————।
————————————— হল সৌরজগতের উষ্ণতম গ্রহ।
নেপচুনের একবার পরিক্রমণের সময় —————————————।
————————————— নীলাভ সবুজ বর্ণের গ্রহ।
প্লুটো একটি ————————————— গ্রহ।
লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র নিয়ে তৈরি হয় —————————————।
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা —————————————।
প্লুটোর একবার সূর্যকে পরিক্রমণ করতে সময় লাগে ————————————— বছর।
————————————— গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সবচেয়ে বেশি।
ভারতের প্রথম চন্দ্রযানের নাম —————————————।
হেনরি ক্যাভেনডিশ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ও ঘনত্বের ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীর ————————————— পরিমাপ করেন।
বেডফোর্ড খালটি ————————————— দেশে অবস্থিত।
বেডফোর্ড লেভেল পরীক্ষাটি করেন —————————————।
মেরু অঞ্চলে ঘড়ির সময় নিরক্ষীয় অঞ্চলের তুলনায় সামান্য ————————————— হয়।
পৃথিবীর ————————————— মেরুপ্রদেশ 20 কিমি বেশি ফোলা।
গ্যানিমিড ————————————— গ্রহের উপগ্রহ।
পৃথিবীর ও ————————————— গ্রহের আকৃতি প্রায় সমান।
মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ হল ————————————— ও —————————————।
মহাশূন্যের দ্বীপ বলা হয়—————————————।
পৃথিবীর মেরুদেশীয় ব্যাস————————————— কিমি।
সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ—————————————।
ISRO সদর দপ্তর অবস্থিত—————————————।
অ্যানড্রোমিডা হল —————————————।
সৌরজগতের বৃহত্তম উপগ্রহ হল —————————————।
GPS-এর পুরো কথাটি হল —————————————।
দুটি অতিশয় গ্যাসীয় গ্রহ হল —————————— ও ———————————।
পৃথিবীর নিম্নতম স্থানটি ————————————— মহাসাগরে অবস্থিত।
সৌরজগতের শীতলতম কুলীন গ্রহটি হল —————————————।
সৌরজগতের ————————————— গ্রহের ঘনত্ব সর্বাধিক।
সৌরজগতের ————————————— গ্রহের ঘনত্ব সবচেয়ে কম।
মেরু অঞ্চল অপেক্ষা নিরক্ষীয় অঞ্চলে বস্তুর ওজন হয়—————————————।
প্রশ্নমান – ২
(১) পৃথিবীর আকৃতির প্রাচীন ধারণা কী ছিল?
- পৃথিবীর আকৃতি সম্বন্ধে প্রাচীনকালের পণ্ডিতদের মধ্যে প্রধানত দুটি ধারণা প্রচলিত ছিল, যথা–পৃথিবীর আকার সমতল বা চ্যাপ্টা এবং পৃথিবীর আকার গোলাকার।
- মেসোপটেমিয়া, চিন, গ্রিকদের প্রাচীন ধারণা ছিল যে, পৃথিবী চ্যাপ্টা রুটি বা সমতল থালার মতো। আবার গ্রিক পণ্ডিত পিথাগোরাসই প্রথম বলেন, পৃথিবী গোলাকার।
(২) পৃথিবীর গোলীয় আকৃতির প্রত্যক্ষ প্রমাণ কী?
- পৃথিবীর আকার গোলাকার, এই ধারণার প্রত্যক্ষ প্রমাণ হিসেবে দুটি বিষয়কে উপস্থাপিত করা যায়। যথা–
- মহাকাশচারীরা যখন মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখেন তখন পৃথিবীর গোলীয় আকৃতির কথা বলেন।
- বিভিন্ন দেশের পাঠানো কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবি দেখেও এই গোলাকার ধারণার প্রমাণ পাওয়া যায়।
(৩) অভিগত গোলক কী?
- যে গোলকের উত্তর-দক্ষিণ অক্ষ চাপা এবং পূর্ব-পশ্চিম অক্ষ কিছুটা ফোলা, তাকে অভিগত গোলক বলে। পৃথিবীর এই বৈশিষ্ট্যের কারণে পৃথিবীকে অভিগত গোলকের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
(৪) জিয়ড কাকে বলে?
- গ্রিক শব্দ ‘জিয়ড’ এর অর্থ হল–পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীর মতো।
- পৃথিবীকে গোলক, অভিগত গোলক যাই বলা হোক না কেন, পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি আমাদের পরিচিত কোনো বস্তুর সাদৃশ্য নেই। তাই পৃথিবীর আকৃতির কথা বলতে গিয়ে ‘Geoid’ শব্দ ব্যবহার করা হয়।
(৫) পৃথিবীকে নীলগ্রহ বলে কেন?
- পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ সমুদ্রভাগ। এই বিপুল জলরাশি থাকার কারণে মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে নীল রঙের দেখায়। এইকারণে পৃথিবীকে নীলগ্রহ (বা জলগ্রহ) বলে।
(৬) গোলীয় ভূপৃষ্ঠ কেন সমতল বলে মনে হয়?
- পৃথিবীর আকৃতি সুবিশাল। আমাদের দৃষ্টিশক্তির সাহায্যে পৃথিবীর অতি নগণ্য অংশ আমরা প্রত্যক্ষ করি। ফলত এই গোলীয় ভূপৃষ্ঠ আমাদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই সমতল বলে মনে হয়। ক্রমশ আমরা যদি উপরে উঠতে শুরু করি, তবে আমাদের দৃষ্টি আরো সুদূরবিস্তারী হবে এবং পৃথিবীকে আমরা গোলাকার দেখব।
(৭) পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতির কারণ কী?
- পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতির প্রধান কারণ পৃথিবীর আবর্তন গতি।
- পৃথিবীর দ্রুত আবর্তন গতির কারণে যে কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্রবহির্মুখী শক্তির উদ্ভব ঘটে, তার কারণেই পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণ মেরু চ্যাপ্টা ও পূর্ব-পশ্চিম স্ফীত হয়েছে।
(৮) পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতির দুটি প্রমাণ লেখ।
- পৃথিবীর আকৃতি পূর্ণ গোলক নয়, বরং অভিগত গোলক অর্থাৎ উত্তর-দক্ষিণ মেরু চ্যাপ্টা ও পূর্ব-পশ্চিম স্ফীত। এইরকম আকৃতির দুটি প্রমাণ হল :
- পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ও পরিধির তুলনায় মেরুব্যাস ও পরিধি কম। পূর্ণ গোলক হলে তা সমান হত।
- কোনো বস্তুর ওজন নিরক্ষীয় অঞ্চলের তুলনায় মেরু অঞ্চলে সামান্য বেশি হয়। ওজনের এই তারতম্যই প্রমাণ করে যে, পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলক।
(৯) দিগন্তরেখা কাকে বলে?
- আকাশ ও ভূমি যে বৃত্তীয় রেখায় মিলিত হয়েছে বলে মনে হয়, তাকে দিগন্তরেখা বলে। যত উপরে ওঠা যায়, দিগন্তরেখার পরিধি তত বাড়তে থাকে।
- তবে মনে রাখতে হবে দিগন্তরেখা একটি কাল্পনিক রেখা।
(১০) কাকে কেন পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলা হয়?
- শুক্রগ্রহকে পৃথিবীর যমজগ্রহ বলা হয়।
- পৃথিবী এবং শুক্রের আকৃতি, ঘনত্ব, ব্যাস, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি প্রায় সমান বলে, এদের যমজ গ্রহ বলা হয়।
(১১) আলোকবর্ষ কী?
- আলোকবর্ষ দূরত্বের একটি একক। মহাবিশ্বের দুটি বস্তুর দূরত্ব এই একক দিয়ে মাপা হয়।
- আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে আলোকবর্ষ বলে। সাধারণত সেকেন্ডে আলোর গতিবেগ প্রায় ৩ লক্ষ কিমি। অর্থাৎ আলোকবর্ষ বিশাল দূরত্বকে নির্দেশ করে।
(১২) ছায়াপথ কাকে বলে?
- মহাকাশের লক্ষ লক্ষ তারা, ধূলিকণা ও মেঘপুঞ্জের সমাবেশে গঠিত জ্যোতিষ্ক হল ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি। ছায়াপথ প্যাঁচানো, ডিম্বাকার হয়ে থাকে।
- আকাশগঙ্গা, অ্যান্ড্রোমিডা ছায়াপথের নিদর্শন।
(১৩) মঙ্গলকে লালগ্রহ বলে কেন?
- মঙ্গলগ্রহের মাটিতে প্রচুর পরিমাণে রেড অক্সাইড (লোহা) রয়েছে। তাই মঙ্গলের মাটি লাল। মহাকাশ থেকে এই গ্রহকে সেইকারণে লাল দেখায় বলে এমন নাম হয়েছে।
(১৪) ইউরেনাস সবুজগ্রহ কেন?
- সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাস, যেখানে মিথেনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। তাই এই গ্রহকে সবুজ রঙের দেখায়।
(১৫) সৌরজগতের কোন কোন গ্রহের বলয় আছে?
- মোট চারটি গ্রহের বলয় লক্ষ করা যায় : বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন।
- তবে শনিগ্রহের বলয় সাধারণ দূরবীনে দৃশ্যমান ও তা সুন্দর।
(১৬) অন্তঃস্থ গ্রহ কাকে বলে?
- সৌরজগতের যে গ্রহগুলি সূর্যের নিকটবর্তী, সেগুলিকে অন্তঃস্থ গ্রহ বলা হয়।
- চারটি অন্তঃস্থ গ্রহ, যথা–বুধ, শুক্র, পৃথিবী ও মঙ্গল আয়তনে ক্ষুদ্রতর ও অধিকতর ঘনত্বযুক্ত।
(১৭) বহিঃস্থ গ্রহ কাকে বলে?
- সৌর জগতের যে সমস্ত গ্রহগুলি অন্তঃস্থ গ্রহগুলির তুলনায় অধিক দূরে অবস্থান করে, সেগুলি বহিঃস্থ গ্রহ রূপে পরিচিত।
- চারটি বহিঃস্থ গ্রহ–বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন ‘জায়ান্ট প্ল্যানেট’ রূপে পরিচিত।
(১৮) পৃথিবীকে নীলগ্রহ বলে কেন?
- পৃথিবীর সমগ্র ক্ষেত্রমানের দুই-তৃতীয়াংশ জল থাকায় মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে নীল দেখায়। এ কারণে পৃথিবীকে নীল্গ্রহ বা জলগ্রহ বলে।
- সৌরজগতে একমাত্র পৃথিবীতেই এত জল রয়েছে।
(১৯) বুধের তুলনায় শুক্রের উষ্ণতা বেশি কেন?
- বুধ সূর্যের নিকটে অবস্থান করলেও বায়ুমণ্ডল না থাকায় তার উষ্ণতা খুব বেশি বাড়তে পারে না। কিন্তু শুক্রে CO2-এর ঘন মেঘ থাকায় এই গ্রহের উষ্ণতা বুশের থেকেও অনেক বেশি।
(২০) জীবমণ্ডল কাকে বলে?
- সমুদ্র তলদেশে ৯ কিমি গভীরতা থেকে বায়ুমণ্ডলে ১৫কিমি উচ্চতা পর্যন্ত অঞ্চল জীবমণ্ডল নামে পরিচিত।
- এই ২৪ কিমি অঞ্চলের মধ্যেই শিলামণ্ডল, বারিমণ্ডল ও বায়ুমণ্ডল অবস্থিত।
(২১) নিরক্ষীয় ও মেরু ব্যাস কাকে বলে?
- পৃথিবীর মধ্যভাগ (নিরক্ষরেখা) বরাবর পূর্ব-পশ্চিমের দৈর্ঘ্যকে নিরক্ষীয় ব্যাস বলে।
- পৃথিবীর মেরুরেখা বরাবর উত্তর-দক্ষিণের দৈর্ঘ্যকে মেরু ব্যাস বলে।
(২২) কুলীন ও বামন গ্রহ কাকে বলে?
- যে পর্যাপ্ত ভরের গ্রহগুলি নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এবং কক্ষপথ থেকে অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুকণাকে সরিয়ে ফেলতে পারে, তাদের কুলীন গ্রহ বলে। পৃথিবীসহ মোট আটটি গ্রহ কুলীন গ্রহ রয়েছে সৌরজগতে।
- যে পর্যাপ্ত ভরের গ্রহগুলি নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে কিন্তু কক্ষপথ থেকে অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুকণাকে সরিয়ে ফেলতে পারে না, তাদের বামন গ্রহ বলে। প্লুটো, এরিসসহ মোট ৫টি বামন গ্রহ রয়েছে সৌরজগতে।
(২৩) চাঁদের একটি পিঠই আমরা দেখতে পাই কেন?
- চাঁদের আবর্তন কাল প্রায় ২৭ দিন ৪ ঘন্টা, আবার চাঁদের পরিক্রমণ সময় প্রায় সাড়ে ২৯ দিন। অর্থাৎ চাঁদের আবর্তন ও পরিক্রমণ গতির সময়কাল প্রায় একই হওয়ায় আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদের একদিকই দেখতে পাই।
(২৪) পৃথিবীর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন অংশের নাম লেখ।
- সর্বোচ্চ অংশ – মাউন্ট এভারেস্ট (উচ্চতা ৮৮৪৮ মিটার প্রায়)।
- সর্ব নিম্ন অংশ – প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাত (গভীরতা প্রায় ১১০৩৪ মিটার)।
(২৫) GPS থেকে কী কী তথ্য পাওয়া যায়?
- পৃথিবী পৃষ্ঠের কোনো স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা।
- কোনো স্থানের সঠিক উচ্চতা।
- ভূমিরূপের গঠন।
(২৬) পৃথিবী থেকে আমরা পড়ে যাই না কেন?
- পৃথিবী গোলাকার হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবীর উপরে অবস্থিত ঘরবড়ি, গাছপালাসহ আমরা পড়ে যাই না। তার কারণ পৃথিবীর বিপুল মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। এই শক্তির দ্বারা আমাদের পৃথিবী বায়ুমণ্ডলসহ সমস্ত বস্তুকে পৃথিবী নিজের দিকে টেনে রেখেছে।
(২৭) নিরক্ষীয় অঞ্চলের তুলনায় মেরু অঞ্চলে ওজন বেশি হয় কেন?
- কোনো একটি বস্তুকে পৃথিবী যে পরিমাণ বল দ্বারা আকর্ষণ করে, তা ওই বস্তুর ওজন। সাধারণত বস্তুর ওজন সব স্থানে এক হয় না। যেহেতু নিরক্ষীয় অঞ্চলের তুলনায় দুই মেরু অঞ্চল পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থিত; তাই ওই অঞ্চলে পৃথিবীর টানও সামান্য বেশি হয়। আর এইকারণে মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন সামান্য বেশি হয়।
(২৮) নিরক্ষীয় অঞ্চলের তুলনায় মেরু অঞ্চলে দোলক ঘড়ির দ্রুত চলে কেন? বা সময় এগিয়ে থাকে কেন?
- দোলক ঘড়ির সময় নির্ধারিত হয় পেন্ডুলামের দোলনকালের উপর। নিরক্ষীয় অঞ্চলের তুলনায় মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর আকর্ষণ বল সামান্য বেশি হয় বলে সেখানে পেন্ডুলামের দোলনের গতি বেশি হয়। ফলে মেরু অঞ্চলে সময় সামায় এগিয়ে যায়।
- ফরাসি জ্যোতির্বিদ জাঁ রিচার এই দোলক ঘড়ির পরীক্ষাটি প্রথম করেন।
(২৯) পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলক হয়েছে কেন?
- পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতি অর্থাৎ নিরক্ষীয় অঞ্চল স্ফীত ও মেরু অঞ্চল চাপা – এইরকম হওয়ার প্রধান কারণ পৃথিবীর আবর্তন গতি ও তার ফলে উৎপন্ন হওয়া কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্র-বহির্মুখী শক্তি।
- পৃথিবী সৃষ্টির সময় উত্তপ্ত ও নমনীয় ছিল। তখন পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উল্লিখিত কেন্দ্রমুখী শক্তির প্রভাবে নিরক্ষীয় অঞ্চল স্ফীত এবং কেন্দ্র-বহির্মুখী শক্তির প্রভাবে মেরু অঞ্চল চাপা হয়েছে।
প্রশ্নমান –৩
প্র–১। টীকা লেখ – জিয়ড
(উত্তর) পৃথিবীর আকৃতির সাম্প্রতিক ধারণা : পৃথিবীর নিখুঁত আকৃতি সম্পর্কে ভূবিজ্ঞানীরা এ শব্দটি ব্যবহার করেন তা হল জিয়ড (Geoid) বা “পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীর মতো”।
জিয়ড শব্দের উৎপত্তি ও ব্যবহার : গ্রিক শব্দ ‘Geoid’ = Geo (পৃথিবী) + eoids (দর্শন)। অর্থাৎ ‘Geoid’-এর অর্থ ‘পৃথিবীর মতো দেখতে।’ এই শব্দের প্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী জোহান লিস্টিং।
জিয়ড ধারণা : পৃথিবীর আকৃতির ধারণায় গোলাকার শব্দের ব্যবহার করা হলেও পৃথিবী বলের মত মসৃণ বা সমান নয়। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে রয়েছে সমুদ্রগিরি, বেসিন, খাত ইত্যাদি; আবার রয়েছে সমভূমি, মালভূমি, পাহাড়-পর্বত। ফলত পৃথিবী-পৃষ্ঠ বন্ধুর প্রকৃতির, যার উচ্চতম ও নিম্নতম অংশ যথাক্রমে মাউন্ট এভারেস্ট (৮৮৪৮ মি.) ও মারিয়ানা খাত (১১০৩৩ মি.)।
তাছাড়া উপপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে প্রমাণিত যে, পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু চাপা এবং উত্তর মেরু কিছুটা স্ফীত। পৃথিবীর এই বেঢপ আকৃতির কারণে পৃথিবীর তুল্য বস্তু কিছু নেই। তাই বলা হয়, “পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীর মতো”।
প্র–২। টীকা লেখ – অন্তঃস্থ গ্রহ
(উত্তর) অন্ত:স্থ গ্রহ কী? : সৌরজগতের যে গ্রহগুলি সূর্যের নিকটে অবস্থিত (মোটামুটি ৭০ কোটি কিমির মধ্যে) সেইসব গ্রহগুলি অন্তঃস্থ গ্রহ নামে পরিচিত।
উদাহরণ : সৌরজগতের ছোটো চারটি গ্রহ অর্থাৎ বুধ, শুক্র, পৃথিবী ও মঙ্গল হলো অন্তঃস্থ গ্রহ।
বৈশিষ্ট্য : ১) এই গ্রহগুলি আকারে অপেক্ষাকৃত ছোটো। ২) সূর্যের কাছাকাছি থাকায় এই গ্রহগুলোর উষ্ণতা বেশি হয়। ৩) এদের উপগ্রহ বেশি নেই। ৪) গ্রহগুলির পরস্পরের মধ্যে দূরত্বও কম।
প্র–৩। টীকা লেখ – বহিঃস্থ গ্রহ
বহিঃস্থ গ্রহ :
উদাহরণ :
বৈশিষ্ট্য :
প্র–৪। বামন গ্রহ
(উত্তর) বামন গ্রহ কাকে বলে : যে সকল গ্রহ নিজ কক্ষপথের নিকট থেকে কোনো মহাজাগতিক বস্তুকে সরিয়ে দিতে পারে না, তারা বামন গ্রহ। ২০০৬ সালে IAU বামন গ্রহের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে।
উদাহরণ : সৌরজগতে আপাতত ৫টি বামন গ্রহ রয়েছে। এগুলি হল – প্লুটো, সেরেস, ইরিস, হাউমিয়া ও ম্যাকম্যাক।
বিভিন্ন দিক : ১) বামন গ্রহের ভর তুলনামূলক কম হবে। ২) এই গ্রহগুলির ব্যাস কমপক্ষে ৪০০ কিমি হবে। ৩) এই গ্রহগুলি নিজেদের কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হতে পারে।
প্র–৫। কুলীন গ্রহ
(উত্তর) কুলীন গ্রহ কাকে বলে : পর্যাপ্ত ভরের যেসকল জ্যোতিষ্ক সূর্যকে কেন্দ্র করে অবিরাম ঘুরছে এবং তারা নিজেদের কক্ষপথের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে অন্যসব মহাজাগতিক বস্তুকে সরিয়ে দিতে পারে, তারা কুলীন গ্রহ।
উদাহরণ : বর্তমানে সৌরজগতে ৮টি কুলীন গ্রহ রয়েছে, যথা – বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন।
বিভিন্ন দিক : ১) কুলীন গ্রহগুলির নির্দিষ্ট কক্ষপথ ও পর্যাপ্ত ভর আছে। ২) পর্যাপ্ত ভরের কারণে এগুলির আকৃতি প্রায় গোলাকার। ৩) নিজেদের কক্ষপথের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে অন্য মহাজাগতিক বস্তুকে সরিয়ে ফেলতে পারে।
প্র–৬। অভিগত গোলক
(উত্তর) সংজ্ঞা : যে গোলকের উত্তর-দক্ষিণ কিছুটা চাপা এবং পূর্ব-পশ্চিম অক্ষ কিছুটা ফোলা, তাকে অভিগত গোলক বলে।
পৃথিবীর আকৃতি অনেকটা অভিগত গোলকের মতো।
এমন আকৃতির কারণ : ১) নিজ মেরুদণ্ডের উপর অবিরাম আবর্তন গতি; ২) কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্রবহির্মুখী শক্তির ক্রিয়া – প্রধানত এই দুটি কারণেই পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের মতো হয়েছে।
এমন আকৃতির বৈশিষ্ট্য : ১) অভিগত গোলকের দুটি অক্ষ থাকে। ২) দীর্ঘ অক্ষ (নিরক্ষরেখ) অনুভূমিক এবং ক্ষুদ্র অক্ষ (মেরুরেখা) উল্লম্ব হয়।
প্র–৭। সৌরজগতে পৃথিবীর স্বকীয় অবস্থান
প্র–৮। জিপিএস
প্র–৯। গোলক ও অভিগত গোলকের পার্থক্য লেখ।
প্র–১০। কুলীন ও বামন গ্রহ
প্র–১১। অন্তঃস্থ গ্রহ ও বামন গ্রহ
প্র–১২। গ্রহ ও উপগ্রহ
প্র–১৩। পৃথিবীর আকৃতি সম্বন্ধে প্রাচীন ধারণা লেখ।
প্র–১৪। পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতির তিনটি প্রমাণ লেখ।
প্র–১৫। পৃথিবীর গোল আকৃতির প্রত্যক্ষ প্রমাণ কী?
প্র–১৬। পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীর মতো – ব্যাখ্যা কর।
প্র–১৭। প্লুটোকে বামন গ্রহ বলা হয় কেন?
প্র–১৮। বেডফোর্ড লেভেলের পরীক্ষাটি লেখ।
প্র–১৯। পৃথিবী মানুষের আবাসস্থল হিসেবে গড়ে উঠল কেন?
প্র–২০। এরাটোসথেনিস কীভাবে পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন?
প্র–২১। জিপিএস-এর ব্যবহার লেখ।
প্র–২২। সংক্ষেপে জিপিএস-এর কার্যপদ্ধতি লেখ।
প্রশ্নমান – ৫
প্র–১। পৃথিবীর গোলীয় আকৃতির প্রমাণ লেখ।
প্র–২। পৃথিবীর অভিগত গোলকাকৃতির প্রমাণ লেখ।