কৃপণঃ কপালী : নাট্যকার শ্রীজীব ন্যায়তীর্থ (১৮৯৩–১৯৯২ খ্রি.) রচিত একটি প্রহসনধর্মী নাটক হলো কৃপণ কপালী।
কৃপণঃ কপালী সারাংশ সরলার্থ সরল উচ্চারণ শব্দার্থ
- নাট্যকার শ্রীজীব ন্যায়তীর্থ (১৮৯৩–১৯৯২ খ্রি.) রচিত একটি প্রহসনধর্মী নাটক।
- উৎস : ‘চিপিটকচর্বণম্’ (১৯৭২ খ্রি.)
- ‘চিপিটকচর্বণম্’ কথার অর্থ—চিঁড়ে চেবানো।
সরল-উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ
- কপালী—অরে দুষ্টে পাপিষ্ঠে দাসি! (ওরে ও দুষ্ট পাপিষ্ঠা দাসী!)
- মন্থরা—(যুক্তপাণিঃ) দেব! কিং মাম্-আকারয়সি? (হাতজোড় করে, প্রভু! আমাকেই কি বলছেন?)
- রঙ্গিণী—(মুখেহ-অঙ্গুলিম্-অর্পয়িত্বা শনৈঃ-নিষ্ক্রান্তা)। (মুখে আঙ্গুল দিয়ে ধীরে ধীরে বেরিয়ে গেলেন)
- কপালী—কিং বধির-অসি? অরে গর্ভদাসি! আতপ-বর্ষা-ত্রাণং হর্ষায় যৎ-শরণাম্-আপন্নানাম্। কর্তিত-বালদ্রুমবৎ পথি তৎ-পাতিতম্-অহো স্পর্ধা। মম পুত্র-পৌত্র-সুখভোগ্যং ছত্রমিদং নিক্ষিপসি নির্দয়ম্? (তুই কি কালা নাকি? ওরে গর্ভদাসী! রোদ-বৃষ্টি থেকে এই ছাতা রক্ষা করে, বিপদে পড়লে তার শরণ নেওয়া যায়। আর তোর এত স্পর্ধা যে তুই কেটে ফেলা চারাগাছের মতো এটাকে পথে ফেলে দিয়েছিস। আমার ছেলে-নাতিদের সুখভোগের এই ছাতাটিকে তুই নির্দয়ের মতো ফেলে দিয়েছিস।)
- মন্থরা—(নাসাকর্ণং স্পৃষ্টা) ঈদৃশম্-অকার্যং পুনঃ-ন-অহং করিষ্যামি। তৎ-মর্ষয়তু মাং মহাভাগঃ। সত্যং কথয়ামি পঙ্গুরামেণ ভৃত্যেন তব জীর্ণং পাদুকা-যুগলং নিক্ষিপ্তম্-ইতি দৃষ্টা ময়া-অপি ছত্রং পরিত্যক্তম্। (নাক-কান ধরে, এই অকাজ আর আমি কখনো করবো না। প্রভু আমাকে ক্ষমা করুন। সত্যি বলছি, চাকর পঙ্গুরাম আপনার ছেঁড়া জুতো-জোড়া ফেলে দিয়েছে; আর তা দেখে আমিও ছাতা ফেলে দিয়েছি।)
- কপালী—কিং নাম মম পুরাতনং পাদুকা-যুগলং ভৃত্যেন দুরীকৃতম্? অরে মম দুর্ভাগ্য-দুর্গ্রহ! দাসাপসদ! কথয় ক্ব তাবৎ পাদুকাদ্বয়ং নিক্ষিপ্তবান্-অসি? (কী বলে চাকর ব্যাটা আমার জুতো-জোড়া ফেলে দিয়েছে? ওরে আমার কপাল! হতভাগা! কোথায় আমার জুতো-জোড়া ফেলেছিস বল?)
- (প্রবিশ্য) ভৃত্যঃ—কর্তঃ! অলীকং কথয়তি দাসী। তথাবিধস্য কুকার্যস্য কারকো ন ভবতি তে চতুরো দাসঃ। (চাকর প্রবেশ করে, কর্তা এ দাসী মিথ্যে কথা বলছে। এইরকম কুকাজ এই চতুর চাকর কখনো করতে পারে না।)
(একঃ কুক্কুরঃ পাদুকামুখো ধাবন্ নিষ্ক্রান্তঃ)
[একটা কুকুর জুতো মুখে নিয়ে দৌড়ে গেল]
- মন্থরা—কর্তঃ। পশ্য পশ্য। অয়ং কুক্কুরঃ পাদুকামুখো ধাবতি। (কর্তা, দেখুন দেখুন। এই কুকুর জুতো মুখে করে দৌড়াচ্ছে।)
- কপালী—হম্! দৃষ্টো ময়া কুক্কুরঃ। যাবৎ পাদুকাম্-আচ্ছেত্তুম্-এনম্-অনুধাবামি। (হুম্, কুকুরটিকে দেখলাম। জুতো ছিনিয়ে আনতে আমি কুকুরটির পিছনে দৌড়াবো।)
(ছত্রং কক্ষে নিধায় ধাবন্ নিষ্ক্রান্তঃ।)
[ছাতাটি ঘরে রেখে দৌড়ে বেরিয়ে গেলেন]
- মন্থরা—অরে ধূর্ত। মিথ্যাকথনং ন সহতে দেবঃ-অপি। ধর্মকুক্কুররূপং ধারয়ন্ দেবো ঝটিতি-আগতঃ। (ওরে ধূর্ত, মিথ্যা কথা দেবতা কখনো সহ্য করে না। ধর্মদেবতা কুকুরের রূপ ধরে তাই তাড়াতাড়ি চলে এসেছেন।)
- পঙ্গুরামঃ—তিষ্ঠ, অহম্-অপি পশ্যামি ত তব-একং দিনম্-উত মম্-একং দিনম্। (ওরে থাম, আমিও দেখবো, তোর একদিন কি আমার একদিন।)
- মন্থরা—ত্বং কিং মে করিষ্যসি (ইতি-অঙ্গুষ্ঠং দর্শয়তি)। (তুই কী করবি আমার, এই বলে আঙুল দেখাল।)
(নেপথ্যে কুকুরশব্দঃ)
[নেপথ্যে কুকুরের শব্দ শোনা গেল]
- পঙ্গুরামঃ—তর্কয়ামি কর্তা কুকুরং প্রহৃত্য পাদুকাম্-আচ্ছিদ্য গৃহ্নাতি। যাবৎ-অয়ং প্রত্যাবর্ততে তাবৎ পলায়িষ্যে। (মনে হয় কর্তা কুকুরটিকে মেরে জুতো নিয়ে আসছেন। তিনি আসার আগে আমি পালিয়ে যাই।)
- মন্থরা—অদ্য খলু প্রহারেণ পঙ্গুরামস্য পৃষ্ঠচর্ম-উৎপাটিতং ভবিষ্যতি। যাবৎ প্রেক্ষে পাদুকা লব্ধা ন বা-ইতি। (আজ নিশ্চিত মেরে পঙ্গুরামের পিঠের চামড়া খুলে নেওয়া হবে। জুতো পাওয়া গেল কিনা দেখি।)
- রঙ্গিণী—(প্রবিশ্য) অহো দুর্দৈবম্! কার্পণ্য-দোষাৎ পত্যুঃ-মে বুদ্ধি-বিকারো জাতঃ। অন্যথা কুক্কুরমুখাৎ পাদুকা-গ্রহণায় ধাবতি বা কশ্চিৎ-অপি সুস্থঃ পুরুষঃ? কস্য পাদুকা শুনা নীয়তে কো জানাতি? কর্তা কুক্কুরেণ দৃষ্টঃ সন্ গৃহে প্রত্যাবর্ততে। ক্ষরতি রুধিরধারা পাদদেশাৎ। অরে মন্থরে। স ত্বম্-অত্র নিশ্চিন্তা তিষ্ঠসি! সত্বরং গচ্ছ বৈদ্যম্-আহ্বয়। (প্রবেশ করে, হায় আমার দুর্ভাগ্য! কৃপণতার জন্য আমার স্বামীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। নাহলে কোনো সুস্থ ব্যক্তি কুকুরের মুখ থেকে জুতো আনতে দৌড়ায়। কুকুরে কার জুতো নিয়ে গেছে কে জানে? স্বামী যে কুকুরের কামড় খেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পা থেকে রক্ত পড়ছে যে। ওরে মন্থরা, তুই এখানে নিশ্চিন্তে আছিস! তাড়াতাড়ি গিয়ে বৈদ্য ডেকে নিয়ে আয়।)
- দাসী—হা ধিক্! হা ধিক্! যৎ-আজ্ঞাপয়তি ভর্ত্রী। (হায় হায়! মায়ের যেমন আদেশ।)
(ততঃ প্রবিশতি কুক্কুরদষ্টঃ স্রবদ্-রুধিরঃ কপালী)
[তারপর কুকুরের কামড়ে রক্ত পড়া অবস্থায় কপালী প্রবেশ করলেন]
- কপালী—হা কষ্টম্! কুক্কুরেণ দষ্টঃ-অস্মি। ছত্রেণ প্রহরতো মে ছত্রমপি ভগ্নম্। পাদুকাম্-অপি ভক্ষ্যমাণাং বলাদ্-আচ্ছিন্দম্ সারমেয়েণ-আক্রান্তঃ পলায়মানঃ পদে দষ্টঃ-অস্মি। ন মে দংশনে ব্যথা তচ্ছত্রং ভগ্নং পাদুকাদ্বয়ং মে গতম্-ইতি-অবসীদামি। হা ধিক্! (কী কষ্ট! কুকুরটা আমায় কামড়ে দিয়েছে। ছাতা দিয়ে মারতে গিয়ে ছাতাটাও আমার ভেঙে গিয়েছে। জুতো খাওয়ার সময় তার মুখ থেকে নিতে গিয়ে আক্রান্ত হলাম, পালাতে গিয়ে পায়ে কামড় খেলাম। কামড়ানোর ব্যথা আমার নেই। তবে ছাতা ভেঙে গেল জুতো চলে গেল, তাতে কষ্ট পেয়েছি। হায় ধিক!)
- রঙ্গিণী—অহো রক্তধারা। হা বিধে! (একং কটং বিস্তীর্য) ত্বমত্র শয়ানো বিশ্রামং কুরু। বৈদ্যম্-আনেতুং মন্থরা ময়া প্রেষিতা। (আঃ! কত রক্ত! হায় ভগবান! [একটি মাদুর বিছিয়ে দিয়ে] তুমি এতে শুয়ে বিশ্রাম করো। বৈদ্যকে ডাকতে আমি মন্থরাকে পাঠিয়েছি।)
- কপালী—মা হতাশে। নব-অয়ং কটঃ কথং ভূমৌ পাতিতো ন মলিনো ভবিষ্যতি? আনয় পুরাতনং কটম্। কথং বা বৈদ্য আহূতঃ? দর্শনীং কো দাস্যতি? (দুঃখ কোরো না। এই নতুন মাদুরটা মাটিতে পেতেছ কেন, নোংরা হবে তো? পুরোনো মাদুর আনো। কেনই বা বৈদ্য ডেকেছো? বৈদ্যের টাকা কে দেবে?)
- রঙ্গিণী—আঃ কিং প্রলপসি? কটে-অস্মিন্ কুরু শয়নম্। পুরাতনে ছিন্নকটে শায়িতং ত্বাং দৃষ্টা বৈদ্যঃ কিং কথয়িষ্যতি? চিকিৎসার্থং দাতব্যা দক্ষিণা-ইতি কথং ব্যয়াদ্-উদ্বিজসে। জীবনং তু রক্ষণীয়ম্। (আঃ, কী আজেবাজে বকছো? এই মাদুরেই শোও। পুরোনো মাদুরে শুয়ে থাকলে দেখলে বৈদ্যই বা কী বলবেন? চিকিৎসার জন্যই তো টাকা দিতে হবে, তাতে উদ্বিগ্ন হচ্ছো কেন? জীবন তো রক্ষা করতে হবে।)
(ততঃ প্রবিশতি মন্থরয়া দর্শিতমার্গো বৈদ্যঃ)
[তারপর মন্থরার দেখানো পথ দিয়ে বৈদ্য এলেন]
- বৈদ্যঃ—ক্ব তাবদ্ গৃহস্বামী? অয়ম্-অহম্-অস্মি বৈদ্যঃ। (গৃহস্বামী কই? আমি হলাম বৈদ্য।)
- রঙ্গিণী—(কিঞ্চিৎ-অবগুণ্ঠনং নাটয়িত্বা) আগচ্ছতু ভবান্। অত্রৈব বর্ততে রোগী। (মাথায় সামান্য ঘোমটা দিয়ে বললেন, আপনি আসুন। এখানেই রোগী শুয়ে আছেন।)
- বৈদ্যঃ—ভোঃ শ্রেষ্ঠিন্! কঃ-তে রোগঃ? (ওহে বণিক, আপনার কীসের রোগ?)
- কপালী—(মুখং বিকৃতং কৃত্বা) কঃ-তে রোগঃ? ন দৃশ্যতে রুধিরধারা ক্ষরন্তী? (মুখ বিকৃত করে বললেন, কী রোগ! দেখতে পাচ্ছেন না রক্তের ধারা বইছে।)
- রঙ্গিণী—কুক্কুরেণ দষ্টো মে পতিঃ। (আমার স্বামীকে কুকুরের কামড়েছে।)
- বৈদ্যঃ—কীদৃশেন কুক্কুরেণ? কথং কদা বা দষ্টঃ? (কেমন কুকুর? কখন বা কীভাবে কামড়াল?)
- রঙ্গিণী—ন-অস্মাকং পরিচিতেন। ন-অপি বা ঘটিকা-যন্ত্রং দৃষ্টং ময়া। (আমরা চিনি না। আমি তো ঘড়িও দেখিনি।)
- বৈদ্যঃ—তর্হি কুক্কুর-দংশনম্-ইতি কথং জ্ঞাতম্? নাড়ীং দর্শয় শ্রেষ্ঠিন! (হস্তনাড়ীং পরীক্ষ্য) নাড়ী ন সমীচীনা। লক্ষণং প্রতিকূলং প্রতিভাতি। প্রহৃতেন কুক্কুরেণ ক্রুদ্ধেন-আক্রম্য দষ্ট ইতি-উচ্যতাম্। ইদানীম্-এব-অয়ং গব্যঘৃতম্-উষ্ণ-দুগ্ধেন সহ পায়য়িতব্যঃ। (তাহলে কীভাবে জানলেন কুকুরে কামড়েছে? বণিক, আপনার নাড়ী দেখান। হাতের নাড়ী পরীক্ষা করে বললেন, নাড়ীর গতি ভালো নয়। লক্ষণ ভালো মনে হচ্ছে না। বলুন যে— কুকুরটা মার খেয়ে রেগে গিয়ে আপনাকে কামড়েছে। এখন একে গরম দুধের সঙ্গে গাওয়া ঘি খাওয়াতে হবে।)
- কপালী—(মুখং বিকৃতং কৃত্বা স্বগতম্) গব্যঘৃতম্? মহামূর্খঃ-অয়ং যদ্-আধুনিকং বনস্পতি-ঘৃতম্-অবজ্ঞায় দুর্মূল্যং দুষ্প্রাপং নামমাত্র-পরিচিতং গো-ঘৃতং ব্যবস্থাপয়তি। (মুখ বিকৃত করে মনে মনে বললেন, গাওয়া ঘি? মহামূর্খ এই বৈদ্য কিনা এখনকার বনস্পতি ঘি বাদ দিয়ে দুষ্প্রাপ্য নামমাত্র পরিচিত গাওয়া ঘিয়ের ব্যবস্থা করছে!)
- রঙ্গিণী—বৈদ্যবর! পশ্য পশ্য পত্যুঃ-মে-অধর-স্পন্দনম্। ন-অস্য বাক্ প্রসরতি। (বৈদ্য! দেখুন দেখুন আমার স্বামীর অধর কেঁপে উঠছে। কিন্তু কথা বেরোচ্ছে না।)
- বৈদ্যঃ—উপচীয়তে বিকারলক্ষণম্। তর্হি সদ্য এব সম্যক্-উত্তপ্ত-লৌহ-শলাকয়া ক্ষতস্থান-দাহো বিধেয়ঃ। (বিকারের লক্ষণ বাড়ছে। এক্ষুনি বেশ গরম লোহার শিক দিয়ে ক্ষতস্থান পুড়িয়ে দিতে হবে।)
- কপালী—(স্বগতম্) অহো চাতুরী! অল্পং ক্ষতং বর্ধয়িত্বা চিকিৎসাং করিষ্যতি বৈদ্যঃ। তদ্-ব্যাজেন মে ধনলুণ্ঠনং ভবেৎ। (মনে মনে বললেন, বেশ চালাকি! অল্প ক্ষতটা বাড়িয়ে দিয়ে বৈদ্য চিকিৎসা করবেন। এইভাবে ঠকিয়ে আমার টাকাপয়সা লুঠ করার ধান্দা।)
- বৈদ্যঃ—গৃহকর্ত্রি! শৃণু যদি মম চিকিৎসা ন কৃতা ভবেৎ তদা জলাতঙ্ক-রোগেণ-আক্রান্তঃ কুক্কুরবদ্-রবং কৃত্বা সমীপবর্তিনঃ সর্বান্-এব দঙ্গ্ক্ষ্যতি রোগী। তান্-অপি পুনঃ-উন্মত্তান্ বিধায় স্বয়ং মরিষ্যতি। গৃহজনাঃ-চ পশ্চাৎ-মরিষ্যন্তি। (গৃহকর্ত্রি! আমার কথা যদি না শোনা হয়, তবে ইনি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে কুকুরের মতো ডাকতে ডাকতে আশেপাশের সবাইকে কামড়ে দেবে। তারাও আবার পাগল হয়ে নিজেরা মারা যাবে। পরে বাড়ির লোকেরাও মারা যাবে।)
- রঙ্গিণী—সত্বরম্-আনয়ামি লৌহ-শলাকাম্। করোতু ভবানপি সমুচিতাং চিকিৎসাম্। (নিষ্ক্রান্তা)। (আমি এক্ষুনি লোহার শিক নিয়ে আসছি। আপনি উপযুক্ত ব্যবস্থাই করুন। এই বলে বেরিয়ে গেলেন)
- কপালী—(কুকুরশব্দং কৃত্বা বৈদ্যং নখদন্তেন-আক্রমিতুং চেষ্টতে)। (কুকুরের মতো শব্দ করে বৈদ্যকে নখ-দাঁত দিয়ে আক্রমণ করতে গেলেন।)
- বৈদ্যঃ—অহো বিপত্তিঃ। কিং স্বপ্রাণান্ পরিহরামি? তিষ্ঠতু মে দক্ষিণা। (আঃ! কী বিপদ। নিজের প্রাণটা কি দিতে হবে নাকি? আমার দক্ষিণা থাক।)
(ধাবন্ নিষ্ক্রান্তঃ)
[দৌড়ে বেরিয়ে গেলেন]
- কপালী—অহো আপদ্ গতা। নিশ্চিন্তঃ-অস্মি সাংপ্রতম্। তথাপি হৃদয়ং মে বিদীর্যতে – ছত্রং তথা পাদুকা-যুগলং মে বিনষ্টং চিরায়। (যাক আপদ চলে গেছে। এখন নিশ্চিন্ত হওয়া গেল। তবুও আমার মনে কষ্ট রয়ে গেছে—ছাতা আর জুতো-জোড়া চিরকালের মতো নষ্ট হয়ে গেল।)
নাটকের চরিত্র | কারা |
১. কপালী | মূল চরিত্র। একজন কৃপণ বণিক। দুর্মুখ ব্যক্তি। |
২. রঙ্গিনী | বণিকের স্ত্রী। কোমল স্বভাবের। |
৩. মন্থরা | দাসী। |
৪. পঙ্গুরাম | ভৃত্য। |
৫. বৈদ্য | চিকিৎসক। উল্লিখিত রচনাংশে নাম নেই। |
একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমেস্টারের সমস্ত পাঠ
- উপমন্যুকথা
- বর্ষাবর্ণনম্
- কৃপণঃ কপালী
- সন্ধি
- শব্দরূপ
- ধাতুরূপ
- প্রত্যয়
- বৈদিক সাহিত্যের ইতিহাস
- রামায়ণ
- গল্পসাহিত্য