Last Update : June 29, 2024
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতা, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমেস্টার কবিতা, Iswar Chandra Vidyasagar by Madhusudan Dutta, Class 11 XI Bengali 1st Semester Poem
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার (মধুসূদন দত্ত) উৎস সারাংশ শব্দার্থ টীকা
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
৮৬ সংখ্যক সনেট
বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে।
করুণার সিন্ধু তুমি, সেই জানে মনে,
দীন যে, দীনের বন্ধু! – উজ্জ্বল জগতে
হেমাদ্রির হেম-কান্তি অম্লান কিরণে।
কিন্তু ভাগ্য-বলে পেয়ে সে মহা পর্ব্বতে,
যে জন আশ্রয় লয় সুবর্ণ চরণে,
সেই জানে কত গুণ ধরে কত মতে
গিরীশ। কি সেবা তার সে সুখ-সদনে!–
দানে বারি নদীরূপ বিমলা কিঙ্করী;
যোগায় অমৃত ফল পরম আদরে
দীর্ঘ-শিরঃ তরু-দল, দাসরূপ ধরি;
পরিমলে ফুল-কুল দশ দিশ ভরে;
দিবসে শীতল শ্বাসী ছায়া, বনেশ্বরী,
নিশায় সুশান্ত নিদ্রা, ক্লান্তি দূর করে!
উৎস – মাইকেল মধুসূদন দত্তের “চতুর্দশপদী কবিতাবলী” ১২৭৩ বঙ্গাব্দ (১৮৬৬ খ্রি.)
প্রথম সংস্করণে “ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর” ৮৪ সংখ্যক সনেট। কিন্তু দ্বিতীয় সংস্করণে (১৩৭৫ বঙ্গাব্দ/১৮৬৯ খ্রি.) এটি ৮৬ সংখ্যক সনেটরূপে প্রকাশিত হয়।
“চতুর্দশপদী কবিতাবলী”-তে বিদ্যাসাগরকে উদ্দেশ্যে করে কবি দুটি সনেট লিখেছেন
- বঙ্গদেশে এক মান্য বন্ধুর উপলক্ষে (৪৬ নং)
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (৮৬ নং)
আলোচিত টপিক
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার সারাংশ বা বিষয়বস্তু
অষ্টক (Octave)
মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’ কবিতাটির মধ্যে দিয়ে বিদ্যাসাগরের চারিত্রিক গুণাবলী পরিচয় দিয়েছেন এবং বিদ্যাসাগরের প্রতি তাঁর অসীম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মধুকবি ঈশ্বরচন্দ্রকে ‘বিদ্যার সাগর’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতো পণ্ডিত, জ্ঞানী শুধু বিদ্যার সাগরই নন, তিনি করুণার সাগরও। যে দীনদরিদ্র সেই-ই মনে মনে জানে এই কথা যে, তিনি আসলে দীন-দরিদ্রের পরম বন্ধু, পরম আশ্রয়। কারণ তাঁর করুণাধারার স্পর্শে তার জীবন ধন্য হয়ে গেছে। যেমন ধন্য হয়ে গেছে স্বয়ং মাইকেল মধুসূদনের জীবনও।
বিদ্যাসাগর সোনার পাহাড়ের মতো উজ্জ্বল, স্বর্ণাভ অমলিন উজ্জ্বল কিরণে তিনি উদ্ভাসিত। কেউ যদি ভাগ্যবলে সেই মহা পর্বতস্বরূপ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সাক্ষাৎ পায় আর আশ্রয় পেয়ে থাকে তাঁর সোনার পদকমলে, তবে সে-ই জানবে কত গুণবান তিনি। পর্বতশ্রেষ্ঠ হিমালয়ের মতো তাঁর উত্তুঙ্গ অবদান। তাঁর ঘরে, তাঁর সুখ-আশ্রয়ে পৌঁছোলে যে আন্তরিক সেবা, আতিথেয়তা এবং সাহায্য পাওয়া যায়, তা কথায় প্রকাশ করা অসম্ভব।
ষটক (Sestet)
নদী যেমন করে অকাতরে জল দান করে, নির্মল হৃদয়ে দাসীর মতো সেবাব্রতী হয়ে তিনিও তেমন করেই মানুষের নিঃস্বার্থ উপকার করে চলেন। দীর্ঘতরু যেমন অত্যন্ত আদর ও ভালোবাসায় মানুষকে অমৃতফল দান করে, ফুলের সুগন্ধে চারদিক ভরিয়ে তোলে, ঠিক তেমন-ই বিদ্যাসাগরও তাঁর সেবামূলক কাজের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণসাধন করেন। গাছেদের যেমন উপকারের জন্য কোনো অহংকার নেই, তারা যেমন বিনীত, বিদ্যাসাগরও ঠিক তেমনই। তিনিও ফল-ফুলে পরিপূর্ণ তরুর মতো মানুষের উপকার করে চলেন। বনেশ্বরী অর্থাৎ বনের বিশালাকার বৃক্ষ দিনের খরতাপে শীতল ছায়া দান করে আর রাতে পশুপাখির শান্তির ঘুমের মাধ্যমে ক্লান্তি দূর করার আয়োজন করে। বিদ্যাসাগরও তেমনই, মানবসমাজকে নানা তাপ-উত্তাপ, গ্লানি থেকে মুক্ত করে শান্তির, সুখের বিশ্রাম ও ঘুমের আশ্বাস দেন। শিশুশিক্ষার বিস্তার কিংবা নারীশিক্ষা বিস্তার থেকে বিধবাবিবাহ আইন প্রচলনের মধ্যে সমাজসংস্কার; তিনি যেন একই দেহে বিদ্যাসাগর এবং করুণার সাগর।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার নামকরণ
সাহিত্যের নামকরণ কবি-লেখকের সচেতন দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক। ফলত নামকরণ পর্যালোচনায় আমাদের সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। আলোচ্য “ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর” সনেটটির নামকরণ সার্থক কিনা এখন বিচার্য।
কবি মধুসূদনের “ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর” কবিতাটি বাংলার উনিশ শতকের অনন্য ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে স্মরণ করে রচিত। ঈশ্বরের অগাধ পাণ্ডিত্য ও অসীম করুণার যে রূপ কবি নানাভাবে প্রত্যক্ষ করেছিলেন, তারই প্রকাশ পেয়েছে আলোচ্য সনেটে। হিমালয়ের অতুলন সৌন্দর্য যেমন দূর থেকে আস্বাদিত হয়, তেমনিভাবেই বিদ্যাসাগরের বিরাট পাণ্ডিত্য কবি উপলব্ধি করেছিলেন সাহিত্যপাঠ কিংবা লোকমুখে। কিন্তু বিদ্যাসাগরের মাতৃরূপের অগাধ স্নেহ লাভ করেছিলেন কবি ব্যক্তিজীবনে। ঈশ্বরচন্দ্রের হিমাদ্রিতুল্য উদারতা, দীনজনের আশ্রয় হয়ে ওঠার মধ্যে কবি প্রত্যক্ষ করেছেন অপার মহিমা। সুতরাং কবিতায় ঈশ্বরচন্দ্রের ব্যক্তিত্বের বিশেষ একটি দিক প্রতিফলিত হয়েছে এবং কবিতার নামকরণ বিফলে পর্যবসিত হয়নি।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার প্রকৃতি
“ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর” কবিতাটি একটি সনেট। সনেট কী, এ সম্পর্কে কিছু বলা প্রয়োজন। ‘সনেট’ ইতালীয় শব্দ, যার সম্পর্কে বলা হয়েছে – “A sonnet is a wave of melody” অর্থাৎ বিশেষ ছন্দোবন্ধে রচিত কবির হৃদয়ান্তর্গত ভাবোচ্ছাসের অভিব্যক্তি। সনেটে বিশেষ ছন্দোবন্ধে গঠিত কারণ এর –
ক. পঙক্তি সংখ্যা নির্দিষ্ট; সাধারণত ১৪ (চতুর্দশ) পংক্তির।
খ. প্রতি পঙক্তিতে থাকে নির্দিষ্ট ১৪ বা ১৮ বা ২২ মাত্রা।
গ. সনেট – অষ্টক, ষটক, চতুষ্ক, ত্রিপদী, দ্বিপদীতে বিভক্ত
সনেটের স্রষ্টা বলা হয় পিয়ারোভনে-কে। যদিও সনেটের প্রকৃত স্রষ্টা বলা উচিৎ ইতালির নবজাগরণের কবি পেত্রার্ক-কে। সনেট নানাসময়ে কবিদের হাতে নানাভাবে বিবর্তিত হয়েছে। সেই অনুসারে সনেট সাধারণত তিন রীতির, যথা–
ক. পেত্রার্কীয় সনেট,
খ. শেক্সপিয়রীয় সনেট, ও
গ. ফরাসি সনেট।
বাংলা ভাষায় সনেটের জন্মদাতা অবশ্যই মাইকেল মধুসূদন দত্ত। সনেটকে কবি নামকরণ দিয়েছেন “চতুর্দশপদী”। এসম্পর্কে কবি বন্ধু গৌরদাস বসাককে চিঠিতে লিখেছিলেন – “I say the sonnet চতুর্দশপদী will do wonderfully in our language”। ফ্রান্সের ভার্সাই-তে থাকার সময় কবি সনেট রচনা করেছেন। অর্থাৎ বিদেশের মাটিতেই বিদেশি ফসলের দেশীয়করণ সম্পন্ন হয়েছিল। মধুসূদনের বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম সনেট হলো “কবি মাতৃভাষা”, ১৮৬০ সালের দিকে রচিত। তবে মনে রাখ্তে হবে যে, বাংলা ভাষায় সনেট লেখার আগে মধুসূদন ছাত্রজীবনে ইংরাজি ভাষায় সনেট লিখেছিলেন। যাইহোক ১৮৬৬ সালের ১ আগস্ট “চতুর্দশপদী কবিতাবলী” গ্রন্থ-আকারে প্রকাশিত হয়। এ প্রসঙ্গে উলেখ্য যে, এই কবিতাগুলি কবির শেষ জীবনের রচনা।
“ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর” কবিতাটি হলো ‘পেত্রার্কীয় সনেট’-এর উদাহরণ। কবিতাটির অন্ত্যমিল এইরূপ : ক-খ, ক-খ, ক-খ, ক-খ, গ-ঘ, গ-ঘ, গ-ঘ।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার শব্দার্থ
বিদ্যার সাগর = অগাধ জ্ঞান রয়েছে এমন ব্যক্তি
সিন্ধু = সাগর, সমুদ্র
দীন = দরিদ্র, গরীব
হেমাদ্রি = হেম + অদ্রি, সোনার পর্বত, সুমেরু পর্বত
হেম-কান্তি = সোনার মত রূপ
অম্লান = যা বিবর্ণ বা ফ্যাকাশে নয়, উজ্জ্বল
মহাপর্বত = বিশাল পর্বত, অন্য অর্থে হিমালয়
লয় = নেয় (নেওয়া অর্থে)
সুবর্ণ = সোনা (স্বর্ণ শব্দের বিকৃত রূপ)
চরণ = পা
গুণ = বিশেষত্ব, বৈশিষ্ট্য
গিরীশ = গিরি + ঈশ, হিমালয়
সুখ-সদন = সুখের আশ্রয়
সদন = আশ্রয়
বারি = জল
নদীরূপ = নদীর মত
বিমলা = মলিনতা হীন নারী, কলঙ্কহীনা নারী
কিঙ্করী = দাসী
অমৃত ফল = স্বর্গীয় ফল, উপাদেয় ফল
পরম আদরে = অত্যন্ত যত্নে
দীর্ঘ-শিরঃ = উন্নত (উঁচু) বৃক্ষ (কবিতায় – যে ব্যক্তি মাথা নত করে না)
তরুদল = বৃক্ষরাজি, গাছেরা
দাসরূপ = দাসের মত
পরিমল = সুগন্ধ
ফুল-কুল = ফুলের বংশ, ফুলসমূহ
দশ দিশ = দশটি দিক (উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম, ঈশাণ, অগ্নি, নৈঋত, বায়ু, উর্দ্ধ এবং অধঃ)
শীতলশ্বাসী ছায়া = যে ছায়া শীতল বায়ু দান করে (অর্থাৎ গাছের ছায়া)
বনেশ্বরী = বনের ঈশ্বরী, শ্রেষ্ঠ গাছ
নিশা = রাত
সুশান্ত = শান্ত (আধিক্য)
নিদ্রা = ঘুম
ক্লান্তি = কষ্ট, অবসন্ন-ভাব
** দশটি দিকের নাম ছবিতে দেখানো হলো –
অতিরিক্ত তথ্য
কবির জন্ম-মৃত্যু = ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ – ২৯ জুন ১৮৭৩; মাত্র ৪৯ বছরের জীবন
পিতা-মাতা = রাজনারায়ণ দত্ত ও জাহ্নবী দেবী
জন্মস্থান = যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি
স্ত্রী = রেবেকা ম্যাকটাভিস, এমিলিয়া হেনরিয়েটা
শ্রেষ্ঠ কাব্য = ‘মেঘনাদবধ” কাব্য ১৮৬১ খ্রি.
অতিরিক্ত কিছু বক্তব্য
সূচনা
উনবিংশ শতকের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কবি-নাট্যকার হিসেবে যাঁর নাম সর্বাগ্রে স্মরণীয় তিনি অবশ্যই মাইকেল মধুসূদন দত্ত। সাহিত্যিক মহাকাব্য রচনা হোক কিংবা নাটক, সবেতেই তিনি বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে পথিকৃতের আসন ছিনিয়ে নিয়েছেন। আলোচ্য “ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর” কবিতাটি একটি সনেট জাতীয় কবিতা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাংলা ভাষায় প্রকৃত সনেটের রচয়িতা তিনিই। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি, নবজাগরণের কবি-পুরোধা মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবিতাটি সম্পর্কে কয়েকটি বিষয় এখানে তুলে ধরা হলো।
কবি-কথা
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম ১৮২৪ খ্রি. ২৫ জানুয়ারি। কবির মৃত্যু হয় ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন। ২০২৪ সালে কবির জন্মের দ্বিশতবর্ষ পূরণ হলো। দীর্ঘ ২০০ বছর পরেও যখন কবির চর্চা আমাদের মধ্যে সতত প্রবহমান, সুতরাং কবির প্রতিভা নিয়ে আমাদের সন্দিহানের কোনো প্রশ্নও ওঠে না। বর্তমান বাংলাদেশের যশোরে (সাগরদাঁড়িতে) কবির জন্ম এক জমিদার বংশে হলেও কবি বংশের আভিজাত্য পেয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করায় পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন। রেবেকা এবং হেনরিয়েটা নামে দুই নারীকে তিনি বিবাহ করেছিলেন। শিক্ষকতা, পত্রিকা-সম্পাদনা, কেরানি, আইন ব্যবসায়, অনুবাদ বিভাগের পরীক্ষকের মতো নানা পেশা তিনি গ্রহণ করেছেন। কিন্তু কোনো বৃত্তিই তাঁকে বেশিদিন টানতে পারেনি। কারণ কাব্য-সরস্বতীর অকুন্ঠ আশীর্বাদ তাঁর কলমে নিয়মিত বর্ষিত হয়েছে। ফলে কাব্যচর্চা থেকে নিজেকে নিরত করতে পারেননি।
মধুসূদন দত্ত ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ওকালতি পড়ার জন্য মাইকেল ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন ১৮৬২ সালের দিকে। কিছুদিন পরেই স্ত্রী-সন্তান সেখানে উপস্থিত হয়। স্বাভাবিকভাবেই অমিতব্যয়ী মধুসূদনের আর্থিক অবস্থা পড়তি দিকে যায়। তখনই বিদ্যাসাগরকে তিনি চিঠি লিখে অর্থ প্রার্থনা করেন। এমন অবস্থা বিবেচনা করে বিদ্যাসাগর মধুসূদনকে অর্থ পাঠিয়ে দেন। তাছাড়া মধুকবির প্রতি বিদ্যাসাগরের প্রশ্রয় নানাভাবে প্রকাশ পেয়েছে। সে বিষয়ে মধুসূদনের নানা চিঠিপত্রে নানাস্থানে তা উল্লিখিত হয়েছে। আলোচ্য “ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর” সনেটটি বিদ্যাসাগরের প্রতিই যেন সেই মধুকবির অকুন্ঠ স্বীকৃতিদানের একটি প্রয়াস।
কিছু প্রশ্ন
প্র. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সনেটটি কার লেখা? উ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
প্র. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সনেটটির উৎস লেখ। উ. চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৬ খ্রি.)
প্র. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সনেটটি কী প্রকৃতির? উ. পেত্রার্কীয় সনেট।
প্র. বাংলা সনেটের প্রথম রচয়িতা কে? উ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার প্রশ্ন